হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে দাসত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম আমির আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ভারতের সাথে বন্ধুত্ব নয়, দাসত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। তথাকথিত বন্ধুত্বের নামে আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে ভারতের সুবিধাই শুধু দেখা হচ্ছে। কিন্তু প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে আমরাও তো অনেক অসুবিধায় আছি। আমাদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো ভারত অনুভব করে না।
আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো হেফাজতের প্রচার সম্পাদক মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আযহারী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, বাবরি মসজিদ ধ্বংসকারী, উগ্র হিন্দুত্ববাদী খুনি, ইসরাইলের দোসর, আমাদের জন্মভূমি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সত্তা ধ্বংসকারী মোদি সরকারের সাথে দেশবিরোধী কোনো চুক্তি বা সমঝোতা এদেশের জনগণ মেনে নেবে না। স্বদেশের স্বার্থ না দেখে ভারতের স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া বন্ধুত্ব নয়, বরং দাসত্বের শামিল। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য এমন দাসত্বের নজির আমরা অতীতেও দেখেছি। কিন্তু দাসত্বের পরিণতি কখনো সম্মানজনক হয় না।
তিনি আরো বলেন, অন্যায্য বাঁধ বসিয়ে ভারত তিস্তাসহ আন্তর্জাতিক অভিন্ন নদীগুলোর পানি একতরফাভাবে ভোগ করছে। আমাদের প্রাপ্যটুকু তারা দিচ্ছে না। আমাদের নদীগুলো শুকিয়ে মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে। সেখানকার কৃষক ও বাসিন্দারা নিদারুণ কষ্টে ভুগছেন। আবার ভারি বৃষ্টিপাতের সময় ব্যারেজ খুলে দিয়ে ভারত উজানের পানিতে আমাদের বন্যায় ডুবিয়ে মারে। টিপাইমুখ ও ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে আমাদের নদীব্যবস্থা ধ্বংস করেছে ভারত। আমাদের দুর্বল নতজানু পররাষ্ট্রনীতির সুযোগে ভারত নদীর পানি প্রত্যাহার ইস্যুগুলো বছরের পর বছর ঝুলিয়ে রেখেছে। অথচ জনগণের আপত্তি উপেক্ষা করে আমাদের ফেনী নদীর পানি ভারতকে ভোগ করার সুযোগ দেওয়া হলো।
মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বিবৃতিতে আরও বলেন, সীমান্ত হত্যা বন্ধেও ভারতের কোনো বাস্তব পদক্ষেপ দেখা যায় না। কিসের স্বার্থে ভারতকে সারাজীবন মনে রাখার মতো সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তা দেশের মানুষ বোঝে। একদলীয় ফ্যাসিস্ট শাসন আজ জাতির জন্য করাল অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।